ভ্যাট আইনের ধারা ৪৬(১)(ঢ)। কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে উপকরণ কর রেয়াত নেয়া যাবে না তা ধারা ৪৬ এ বর্ণিত হয়েছে। ধারা ৪৬(১)(ঢ)–তে বর্ণিত হয়েছে যে, মোট উপকরণ মূল্য ৭.৫% এর অধিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নতুন উপকরণ-উৎপাদ সহগ প্রদান না করলে “অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ কর” রেয়াত নেয়া যাবে না।
“অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ কর” এর মধ্যে মূল বিষয় নিহীত রয়েছে। এখানে তিনটা কম্পোনেন্ট রয়েছে। একটা হলো, ঘোষিত উপকরণ কর, আর একটা হলো, বর্ধিত উপকরণ কর এবং আর একটা হলো অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ কর। নতুন ঘোষণা না দিলে শুধুমাত্র শেষটুকু অর্থাৎ অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ কর রেয়াত নেয়া যাবে না।
একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা স্পষ্ট করা যায়। ধরুন, একটা পণ্যের উপকরণ-উৎপাদ সহগ ঘোষণা দেয়া আছে ১৫০ টাকা। ১০০ টাকা উপকরণ, ৫০ টাকা মূল্য সংযোজন। ধরুন, পণ্যটি উৎপাদনে মোট ১২টা উপকরণ ব্যবহার হয়।
ইতোমধ্যে ৩টা উপকরণ নতুনভাবে কেনা হয়েছে, সেক্ষেত্রে মূল্য বেড়ে গেছে। ধরুন, উপকরণ মূল্য বেড়ে ১০৩ টাকা হয়েছে বা ১০৫ টাকা হয়েছে বা ১০৭ টাকা হয়েছে বা ১০৭.৫ টাকা হয়েছে; এক্ষেত্রে নতুন ঘোষণা দিতে হবে না।
১০৭.৫ টাকা উপকরণের বিপরীতে রেয়াত নেয়া যাবে। ধরুন, উপকরণ মূল্য বেড়ে ১১০ টাকা হয়ে গেছে। তাহলে ঘোষণা না দিলে ১০৭.৫ টাকা উপকরণের বিপরীতে রেয়াত নেয়া যাবে। অবশিষ্ট ২.৫ টাকা উপকরণের বিপরীতে রেয়াত নেয়া যাবে না। নতুন সহগ ঘোষণা দিলে ১১০ টাকা উপকরণের বিপরীতে রেয়াত নেয়া যাবে।
মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্পষ্টতা রয়েছে। কেউ বলেন যে, ৭.৫ টাকার অতিরিক্তটুকু রেয়াত নেয়া যাবে না; কেউ বলেন যে, ১০০ টাকার অতিরিক্তটুকু রেয়াত নেয়া যাবে না; আবার, এমনও শোনা যায় যে, কেউ বলেছেন যে, কোনো রেয়াত নেয়া যাবে না।
অথচ আইনের বিধানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ কর রেয়াত নেয়া যাবে না। অর্থাৎ পূর্বের ঘোষিতটুকু রেয়াত নেয়া যাবে; বর্ধিতটুকুও রেয়াত নেয়া যাবে; অতিরিক্ত বর্ধিতটুকু রেয়াত নেয়া যাবে না যদি নতুনভাবে ঘোষণা দেয়া না হয়। ঘোষণা দিলে সবটুকুই রেয়াত নেয়া যাবে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।