সেবা আমদানি আমাদের দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় একটা জটিল ও অস্পষ্ট বিষয়। বিশেষ করে নিবন্ধিত সেবা আমদানিকারক দাখিলপত্রে কোন কোন ক্রমিকে এন্ট্রি দেবে, এ বিষয়ে আইন ও বিধিতে কোনো নির্দেশনা নেই। তাই, মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন রকম প্র্যাকটিস চালু রয়েছে।
ভ্যাটের আওতায় নিবন্ধিত সেবা আমদানিকারক ভ্যাট সরকারি ট্রেজারিতে জমা প্রদান করে ট্রেজারি চালানের অনুলিপি ব্যাংকে দাখিল করবে। ব্যাংক ভ্যাট উৎসে কর্তন করবে না। ব্যাংক সেবামূল্য প্রেরণ করবে।
নিবন্ধিত সেবা আমদানিকারক রেয়াত গ্রহণকারী সত্তা হতে পারে; আবার, রেয়াত গ্রহণ করে না এমন সত্তা হতে পারে। সেবা আমদানিকারক যদি রেয়াত গ্রহণকারী সত্তা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট করমেয়াদে দাখিলপত্রের ক্রমিক নং-৪, ১৫ এবং ৫৮-তে এন্ট্রি দেবে।
যদি সেবা আমদানিকারক রেয়াত গ্রহণকারী সত্তা না হয়, তাহলে দাখিলপত্রের ক্রমিক নং-৪, ২২ এবং ৫৮-তে এন্ট্রি দেবে।
নিবন্ধিত সেবা আমদানিকারক যদি ভ্যাট পরিশোধ না করে, তাহলে সেবামূল্য প্রেরণ করার সময় ব্যাংক প্রযোজ্য ভ্যাট উৎসে কর্তন করবে। ব্যাংক উৎসে কর্তনকারী হিসেবে ট্রেজারিতে জমা এবং দাখিলপত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয় করবে।
ব্যাংক উৎসে কর্তনের প্রত্যয়নপত্র (মূসক-৬.৬) জারি করবে। সেবা আমদানিকারক যদি রেয়াত গ্রহণকারী সত্তা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট করমেয়াদে দাখিলপত্রের ক্রমিক নং-৪, ১৫ এবং ২৯ এ এন্ট্রি দেবে।
সেবা আমদানিকারক যদি রেয়াত গ্রহণকারী সত্তা না হয়, তাহলে ক্রমিক নং-৪, ২২ এবং ২৯ এ এন্ট্রি দেবে। আশা করি, এভাবে এন্ট্রি দিলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।