আন্তর্জাতিক শিপিং লাইন কর্তৃক রেয়াত গ্রহণ পদ্ধতি কি?

একজন পাঠক আমার কাছে প্রশ্ন করেছেন যে, তার প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক শিপিং লাইনের মাধ্যমে পরিবহন সেবা প্রদান করে বৈদেশিক মুদ্রায় পেমেন্ট পায়। প্রতিষ্ঠানটির কোনো স্থানীয় ভ্যাট প্রদেয় হয় না। বেশ কিছু উপকরণের ওপর তারা ভ্যাট পরিশোধ করে যা তারা রেয়াত নেয়। যেমন: জাহাজ ভাড়া, পোর্ট এ্যান্ড পাইলটিং চার্জ, জেটি চার্জ ইত্যাদি।

তাদের কোনো স্থানীয় ভ্যাট প্রদেয় হয় না, সেহেতু দাখিলপত্রে নেগেটিভ ব্যালান্স হয়ে যায় যা তারা রিফান্ডের আবেদন করেছে। কিন্তু ভ্যাট অফিস থেকে ভ্যাট আইনের ধারা ২৪(১১) এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, পোর্ট এ্যান্ড পাইলটিং চার্জ, জেটি চার্জ ইত্যাদি হলো আনুষঙ্গিক পরিবহন সেবা। আনুষঙ্গিক পরিবহন সেবার বিপরীতে রেয়াত পাওয়া যাবে না।

প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য হলো, পোর্ট এ্যান্ড পাইলটিং চার্জ, জেটি চার্জ ইত্যাদি হলো বন্দর সেবা যা রেয়াতযোগ্য। পাঠক আইনসঙ্গত মতামত চেয়েছেন। আমাদের দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় রেয়াত পায় মূলত দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান।

এক. যেসব প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের ওপর প্রদেয় ভ্যাট ১৫%। দুই. যেসব প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের ওপর প্রদেয় ভ্যাট শূন্য শতাংশ। আলোচ্য প্রতিষ্ঠানটি সেবা রপ্তানি করে। তাই, প্রতিষ্ঠানটি রেয়াত পাবে।

কোনো প্রতিষ্ঠানের কি কি ক্রয় উপকরণ হিসেবে গণ্য হবে তা ভ্যাট আইনের ধারা ২(১৮ক)তে উল্লেখ রয়েছে। সেসব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান রেয়াত পাবে। কোন কোন ক্ষেত্রে রেয়াত পাওয়া যাবে না তা ভ্যাট আইনের ধারা ৪৬ এ উল্লেখ রয়েছে। বন্দর সেবার বিপরীতে রেয়াত পাওয়া যাবে।

আনুষঙ্গিক পরিবহন সেবার বিপরীতে রেয়াত পাওয়া যাবে না, এমন কোনো বিষয় ভ্যাট আইনে নেই। ভ্যাট আইনের ধারা ২৪(১১)তে উল্লেখ রয়েছে যে, কোন কোন ক্ষেত্রে শূন্য হার প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ভ্যাট প্রদান করতে হবে না। তবে, যদি এসব সেবার ক্ষেত্রে কোনো কারণে কেউ ভ্যাট প্রদান করে তাহলে সে ভ্যাট ফেরৎ পাবে।

ভ্যাট আইনের ধারা ৭২ এ উল্লেখ রয়েছে যে, অতিরিক্ত পরিশোধিত কর সমন্বয় করা যাবে বা ফেরৎ নেয়া যাবে। বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বন্ড লাইসেন্স দেয়া হয় এজন্য যে, প্রতিষ্ঠানটি শুল্ক-কর পরিশোধ না করে উপকরণ ক্রয় বা আমদানি করবে।

তারপরও কখনও কখনও বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান শুল্ক-কর পরিশোধ করে উপকরণ ক্রয় বা আমদানি করে। সেগুলো প্রত্যর্পণ বা ফেরৎ নেয়া যাবে। একইভাবে ভ্যাট আইনের ধারা ২৪(১১)তে যেসব ক্ষেত্রে শূন্যহার প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে, যদি সেসব ক্ষেত্রে ভ্যাট পরিশোধ করা হয়, সে ভ্যাট যথানিয়মে রেয়াত, রিফান্ড নেয়া যাবে। বিস্তারিত দয়া করে সংযুক্তিতে দেখুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top