ভ্যাট অফিসার কর্তৃক ডকুমেন্ট সাইন কি সাইন করাতে হবে?

জনমনে ভ্যাট সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এই বিষয় আলোচনা করেছিলাম। এরপর পাঠকদের নিকট থেকে অনেকগুলো মতামত পাওয়া গেছে। কয়েকটা মতামত নিম্নে উদ্ধৃত করলাম।

একজন পাঠক লিখেছেন, “জনগণকে সচেতন করে কি কাজ হয়? জনগণতো সহি স্বাক্ষর করাতে বাধ্য হন। তাই নয় কি?” এই মতামত দেখে মনে হয় যে, পাঠক হতাশ হয়ে গেছেন। তিনি মনে করেন যে, জনগণকে সচেতন করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ স্বাক্ষর করাতে বাধ্য হচ্ছেন।

আমার মতামত হলো, সবাইতো স্বাক্ষর করাতে বাধ্য হন না। মূলত মফস্বলে এ ধরনের প্র্যাকটিস রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং তার আশে-পাশে এমন প্র্যাকটিস তেমন নেই। তাহলে আমরা বলতে পারি যে, জনগণ যদি সচেতন হন, তাহলে এই প্র্যাকটিস বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব হবে, ইন-শা-আল্লাহ।

আর একজন পাঠক লিখেছেন, “Any law reference in VAT and SD Act, if online VAT return is submitted, no need to submit hard copy of Return. Sometimes ARO pressure us to submit hard copy otherwise ARO create unnecessary harrasment or create different issue even if no legal ground. Pls help me in this regard.”

এই মতামতে পাঠক রেফারেন্স চেয়েছেন। কোনো মাসের ভ্যাট দাখিলপত্র একবার দাখিল করতে হয়, দুইবার নয়। যদি একবার অনলাইনে দাখিল করা হয়, আবার হার্ডকপি দাখিল করা হয়, তাহলেতো দুইবার দাখিল করা হয়ে যায়।

আইনের ধারা ৬৪তে উল্লেখ রয়েছে যে, দাখিলপত্র পেশ করতে হবেবিধি ৪৭ এ উল্লেখ রয়েছে যে, দাখিলপত্র কোথায় দাখিল করতে হবে। এখানে দুইবার রিটার্ন দাখিল করার উল্লেখ নেই। পাঠক আরো লিখেছেন যে, এআরও প্রেসার তৈরি করেন। এমন ঘটনা ঘটে না সেটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। তবে, এমন ঘটনা খুব বেশি ঘটে বলে আমার মনে হয় না।

এমন হলে আপনি আরো সিনিয়র অফিসারের কাছে বলুন। এখন প্রায় সব জেলা শহরে ভ্যাট বিভাগীয় অফিস রয়েছে যেখানে সহকারী কমিশনার পর্যায়ের অফিসার বসেন। জেলা শহরে বড় বড় ব্যবসায়ী সংগঠন রয়েছে।

তাই, এমন অন্যায় প্রেসার তৈরি করা সহজ নয় বলে আমি মনে করি। তাছাড়া, যাঁরা জানেন, কথা বলতে পারেন তাঁদের সহায়তা নিতে পারেন। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদধারী অনেক ভ্যাট কনসালট্যান্ট রয়েছেন, তাঁদের সহায়তা নিতে পারেন।

আপনাদেরকে দয়া করে এই প্র্যাকটিসগুলো করতে অনুরোধ করি। ট্রেজারি চালান ভ্যাট অফিস থেকে সাইন করিয়ে আনবেন না। ট্রেজারিতে ভ্যাট জমা দিয়ে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করুন। যদি হার্ডকপি রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাহলে কয়েক দিন আগে জিইপি করে পাঠান।

জিইপির রিসিপ্ট রেখে দিন। এটাই আপনার প্রমাণ। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করে আবার হার্ড কপি জমা দেবেন না। সিস্টেম থেকে দেখে নিতে বলুন। তবে, আপনাদেরকে অনুরোধ করি, সঠিকভাবে হিসাবপত্র রাখুন এবং সঠিক পরিমাণ ভ্যাট পরিশোধ করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top