মাঝে মাঝে কেউ কেউ আমার কাছে ভ্যাটযোগ্য পণ্যের তালিকা চান। আসলে ভ্যাটযোগ্য পণ্যের এমন কোনো তালিকা নেই। ভ্যাট ব্যবস্থায় প্রথমে বুঝতে হয় যে, কোন্ কোন্ পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট নেই।
এর বাইরে সব পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট রয়েছে। আবার, পণ্যের ক্ষেত্রে কোন্ স্তরে ভ্যাট আছে, কোন্ স্তরে ভ্যাট নেই সেটাও বুঝতে হয়। কোথায় কোথায় ভ্যাট নেই সেটা বুঝতে হলে দুটো তালিকা দেখতে হবে।
একটা হলো, ভ্যাট আইনের প্রথম তফসিল। প্রথম তফসিলে দুটো খন্ড রয়েছে। প্রথম খন্ড পণ্যের তালিকা। এই তালিকায় বর্ণিত পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো স্তরে ভ্যাট নেই। দ্বিতীয় খন্ড হলো সেবার তালিকা। এই সেবাগুলোর ওপর ভ্যাট নেই। আর দেখতে হবে এসআরও নং-১৩৬-আইন/২০২৩/২১৩-মূসক, তারিখ: ২১ মে, ২০২৩।
এই এসআরওটিকে আমরা মূল অব্যাহতি এসআরও বলি। এই এসআরওতে ৫টা টেবিল রয়েছে। টেবিল-১ এর পণ্য আমদানি পর্যায়ে ভ্যাটমুক্ত। টেবিল-২ এর পণ্য আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটমুক্ত। টেবিল-৩ এর পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটমুক্ত। টেবিল-৪ এ বর্ণিত সেবাগুলো ভ্যাটমুক্ত এবং টেবিল-৫ এর পণ্যগুলো ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাটমুক্ত।
মূলত ভ্যাট আইনের প্রথম তফসিল আর মূল অব্যাহতি এসআরও এই দুই তালিকায় ভ্যাটমুক্ত পণ্য ও সেবা প্রায় সব উল্লেখ রয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু এসআরও আছে যার মাধ্যমে কিছু পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত করা হয়েছে।
কোনো পণ্যের ওপর ভ্যাট আছে কি নেই তা বুঝতে হলে এভাবে প্রথমে ভ্যাট আইনের প্রথম তফসিল দেখতে হবে। তারপর, মূল অব্যাহতি এসআরও দেখতে হবে। তারপর অন্যান্য অব্যাহতি এসআরও দেখতে হবে।
যদি এসব তালিকায় কোনো পণ্য বা সেবা উল্লেখ না থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে, এই পণ্য বা সেবার ওপর ভ্যাট আছে। ভ্যাটের হার বুঝতে হলে ভ্যাট আইনের তৃতীয় তফসিল দেখতে হবে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।