জনমনে ভ্যাট সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানের স্ক্র্যাপ কি পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করতে হবে সে বিষয় আলোচনা করবো, ইন-শা-আল্লাহ্। স্ক্র্যাপ বলতে ধরুন ভাঙ্গা বা অকেজো যন্ত্রপাতি, এসি, ফ্যান, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদি বোঝায়।
আমরা ইতোপূর্বে ৩ ধরনের বর্জ্য নিষ্পত্তির বিধান আলোচনা করেছি। সেগুলো হলো, উপকরণ বিনষ্ট হওয়া, উৎপাদিত পণ্য বিনষ্ট হওয়া এবং উৎপাদনের প্রসেস লস। এ ৩ ধরনের বর্জ্য নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিধান ভ্যাট আইনে রয়েছে।
কিন্তু স্ক্র্যাপ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিধান সরাসরি ভ্যাট আইনে নেই। আমাদের দেশের ভ্যাট আইনের একটা দূর্বলতা হলো, এমন বেশ কিছু বিষয় যা প্র্যাকটিক্যালী আছে কিন্তু আইনে সে সংক্রান্ত বিধান নেই।
আবার, আইনে এমন কিছু বিধান রয়েছে, যে সংক্রান্ত কোনো প্র্যাকটিক্যাল কর্মকান্ড অর্থনীতিতে নেই। ভ্যাট প্রফেশনালদের এ বিষয়গুলো বুঝতে হয়।
যেসব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আছে কিন্তু বিধান নেই, সেসব ক্ষেত্রে আইনের দর্শন, ভ্যাটের নীতিমালা, একই ধরনের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বিধান, অন্য কোনো আইনে সমজাতীয় বিধান, আদালতের আদেশ, প্রথা ইত্যাদির ভিত্তিতে ওয়ার্কেবল সমাধানে পৌঁছাতে হয়।
আমাদের দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় নিলামকৃত পণ্যের ক্রেতা শিরোনামে একটা সেবা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ৭.৫%। অর্থাৎ নিলামে কেউ কোনো পণ্য কিনলে ক্রেতাকে ৭.৫% ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে।
আবার, যোগানদার শিরোনামে একটা সেবা রয়েছে। সেটাও কাছাকাছি ধরনের সেবা। এই সেবার ক্ষেত্রেও ভ্যাটের হার ৭.৫%। তাই, এভাবে স্ক্র্যাপ বিক্রি করা হলে সরকারি কোষাগারে ৭.৫% ভ্যাট জমা দিয়ে দেয়া হয়। তাহলে কোনো অডিট আপত্তি হয় না।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।