জনমনে ভ্যাট সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানের উপকরণ কোনো কারণে বিনষ্ট হলে তা কি পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করতে হবে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, ইন-শা-আল্লাহ্।
ভ্যাট বিধিমালার বিধি ২৪ক-তে এ সংক্রান্ত বিধান বর্ণিত রয়েছে। উপকরণ ক্রয় করার পর রেয়াত নেয়া হয়। উপকরণ ব্যবহার করে, পণ্য উৎপাদন করে, পণ্য বিক্রি করে, ভ্যাট পরিশোধ করা হলে উপকরণের ওপর নেয়া রেয়াত বৈধতা পায়।
কিন্তু উপকরণ যদি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায় তখন দুটো প্রশ্ন আসে: এক. বিনষ্ট উপকরণ কিভাবে আইন মেনে নিষ্পত্তি করতে হবে; এবং দুই. আগে গৃহীত রেয়াত বিষয়ে কী করতে হবে।
উপকরণ বিনষ্ট হলে বিধি ২৪ক অনুসারে, মূসক-৪.৪ ফরমে ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করতে হবে। বিভাগীয় কর্মকর্তা তদন্ত করিয়ে দেখবেন যে বিনষ্ট হওয়া উপকরণ সম্পূর্ণরূপে অব্যবহারযোগ্য, নাকি স্বল্পমূল্যে বিক্রয়যোগ্য।
সম্পূর্ণরূপে অব্যবহারযোগ্য হলে পরিবেশ আইন মেনে নিষ্পত্তি করার আদেশ দেবেন। আর স্বল্পমূল্যে বিক্রয়যোগ্য হলে মূল্য নির্ধারণ করে দেবেন। সে মূল্যে বিক্রয় করতে হবে।
সম্পূর্ণ ধ্বংসযোগ্য হলে ধ্বংস করার পর পূর্বে গৃহীত রেয়াত দাখিলপত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয় করতে হবে, অর্থাৎ সরকারকে ফেরৎ দিয়ে দিতে হবে।
আর স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হলে বিক্রয়মূল্যের ওপর ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। ধরুন, আগে রেয়াত নেয়া হয়েছিল ১ লক্ষ টাকা। এখন বিক্রি করে ভ্যাট দেয়া হলো ৫০ হাজার টাকা। তাহলে অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা দাখিলপত্রে বৃদ্ধি সমন্বয় করতে হবে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।