মাঝে মাঝে কেউ কেউ এমন প্রশ্ন করেন যে, ভ্যাট আইন ও বিধির মধ্যে পার্থক্য কি? সাধারণ আদেশ ও বিশেষ আদেশের মধ্যে পার্থক্য কি? এসআরও কি? ব্যাখ্যাপত্র কি? ইত্যাদি। আজ এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো, ইন-শা-আল্লাহ্।
ইংরেজিতে এই সবগুলোকে বলা হয় লিগ্যাল ইন্সট্রুমেন্ট অর্থাৎ আইনের হাতিয়ার অর্থাৎ আইন। বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্র পরিচালনায় চলছে কনস্টিটিউশনালিজম অর্থাৎ সাংবিধানিকতা। অর্থাৎ একটা দেশ চলে সংবিধান অনুসারে। সংবিধান হলো দেশের সবচেয়ে বড় আইন।
দেশের কোনো আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। এরপর আসে মেজর আইন, তারপর আসে মাইনর আইন। ভ্যাট আইন একটা মেজর আইন। আইন পাশ করে দেশের পার্লামেন্ট। আইন সংশোধন করেও পার্লামেন্ট।
কোনো আইন যে কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করে সে কর্তৃপক্ষকে উক্ত আইনের অধীন বিধি প্রণয়ন করার ক্ষমতা দেয়া হয়। ভ্যাট আইনে এনবিআরকে বিধি প্রণয়ন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এসআরও হলো স্ট্যাটুটরি রেগুলেটরি অর্ডার, বাংলায় বলা হয় প্রজ্ঞাপন। ভ্যাট আইনে মাঝে মাঝে উল্লেখ রয়েছে যে, বোর্ড সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ইহা করিতে পারিবে। এমন ক্ষেত্রে এনবিআর এসআরও জারি করে।
আবার, আইনে কোথাও উল্লেখ রয়েছে যে, বোর্ড সাধারণ বা বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ইহা করিতে পারিবে। এমন ক্ষেত্রে এনবিআর সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারি করে।
তাছাড়া, এনবিআর, কমিশনার এবং মহাপরিচালকদের আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, ব্যাখ্যা, পরিপত্র, স্পষ্টিকরণ ইত্যাদি জারি করার ক্ষমতা রয়েছে।
আইন যেহেতু পার্লামেন্ট পাশ করে; তাই, আইনকে বলা হয় প্রিন্সিপ্যাল লেজিসলেশন। আর বিধি, এসআরও, আদেশ, ব্যাখ্যাপত্র ইত্যাদিকে বলা হয় ডেলিগেটেড লেজিসলেশন।
ডিলিগেটেড লেজিসলেশনের চেয়ে প্রিন্সিপ্যাল লেজিসলেশন প্রাধান্য পায়। আবার, ডেলিগেটেড লেজিসলেশনের মধ্যে বিধি এবং এসআরও সমান গুরুত্ব বহন করে।
সাধারণ আদেশ ও বিশেষ আদেশ আরো কম গুরুত্ব বহন করে। যদি দুটি ইন্সট্রুমেন্টের মধ্যে বিরোধ হয়, তাহলে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা প্রাধান্য পায়। আশা করি, বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।