হাসপাতালে ভ্যাট নেই, আমি ভ্যাট দেবো কেনো?

আমাদের দেশে ভ্যাট সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী। ভ্যাটের মৌলিক বিষয় সকলে না হলেও যাঁরা ভ্যাটের সাথে সরাসরি জড়িত তাঁদেরকে জানতে হবে। আমার সাথে নানাভাবে প্রচুর মানুষের ইন্টারএ্যাকশান হয়।

তাঁদের মুখে আমি নানা ধরনের কথা শুনি। অনেক সময় মর্মাহত হই। যেমন, ধরুন, এমন কথা কেউ কেউ বলেন যে, হাসপাতালে ভ্যাট নেই অথচ ভ্যাট অফিস আমাদের হাসপাতালে চিঠি দিয়েছে। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও হয়েছে।

ভ্যাট দিতে হয় পণ্য বা সেবা বিক্রি করার সময়। ভ্যাট দেয় ক্রেতা। বিক্রেতার হাতে ক্রেতা ভ্যাট দিয়ে যায়। বিক্রেতা মাস শেষ হওয়ার পর সরকারি খাতে ভ্যাট জমা দিয়ে দেয়। তবে, সব বিক্রেতা ভ্যাট জমা দেয় না বা সব ভ্যাট জমা দেয় না।

এখানে ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার আশংকা রয়েছে। তাই, ভ্যাট উৎসে কর্তনের বিধান করা হয়েছে। উৎসে ভ্যাট কর্তন হলো, ক্রেতা ভ্যাট বিক্রেতার কাছে দেবে না। ক্রেতা ভ্যাট সরাসরি সরকারি খাতে জমা দিয়ে দেবে।

যাদেরকে উৎসে ভ্যাট কর্তন করার দায়িত্ব দেয়া আছে, তাদের মধ্যে রয়েছে লিমিটেড কোম্পানি। অনেক হাসপাতাল আছে যা লিমিটেড কোম্পানি। তাই, লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে এসব হাসপাতালকে ক্রেতা হিসেবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভ্যাট উৎসে কর্তন করে সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।

অর্থাৎ ক্রেতা হিসেবে হাসপাতাল যে ভ্যাট বিক্রেতার হাতে দিয়ে আসতো, সে ভ্যাট সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। এভাবে হাসপাতাল ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে কিনা তা ভ্যাট অফিস অডিট করে।

হাসপাতাল ছাড়া আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের এভাবে ভ্যাট সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এটা হাসপাতালের সেবা বিক্রির ভ্যাট নয়, এটা হলো ক্রয়ের ভ্যাট।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top