আজকের আলোচনার বিষয় হলো, উৎসে ভ্যাট কর্তনকারী সত্তা ও তার দায়িত্ব। ভ্যাট আইনের ধারা ২(২১) অনুসারে, উৎসে ভ্যাট কর্তনকারী সত্তা হলো: সরকারি অফিস, এনজিও, ব্যাংক, বীমা কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মাধ্যমিক বা তদুর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং লিমিটেড কোম্পানী।
ভ্যাট আইনের ধারা ২(৯৩) অনুসারে, সরকারী অফিস বলতে বুঝাবে: মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, আধাসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পরিষদ বা অনুরূপ সংস্থা।
এর মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ভ্যাটযোগ্য কোনো পণ্য বা সেবা সরবরাহ করে না কিন্তু তার উৎসে ভ্যাট কর্তন করার দায়িত্ব রয়েছে। এ বিষয়টা অনেকে বুঝতে পারেন না। ফলে, নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। যেমন: একটা হাসপাতাল ভ্যাটযোগ্য সেবা প্রদান করে না; তবে তা লিমিটেড কোম্পানী; তাকে উৎসে ভ্যাট কর্তন করতে হবে।
উৎসে ভ্যাট কর্তন হলো, এসব প্রতিষ্ঠান (উৎসে কর্তনকারী) যখন কোনো ক্রয় করবে তখন কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট বিক্রেতার কাছে দেয়া যাবে না, নিজে সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হবে।
এসব প্রতিষ্ঠানে একাউন্টস, অর্থ, ক্রয়, বিলস পেয়েবল ইত্যাদি শাখায় যারা কাজ করেন, তাঁদের বুঝতে হয় যে, কোন কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে ভ্যাট কর্তন করতে হবে।
আসুন আমরা যারা উৎসে ভ্যাট কর্তনকারী সত্তায় কাজ করি, তাঁরা উৎসে ভ্যাট কর্তন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হই। ভ্যাট পরিপালন নিশ্চিত করি। নিজ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট অডিট আপত্তির সমস্যা থেকে মুক্ত রাখি।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।