ধারা-১২২ (আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল)

1[১২২। উপধারা-(১) কমিশনার বা কমিশনার (আপীল) বা মহাপরিচালক বা সমমর্যাদার কোন মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত দ্বারা কোন ব্যক্তি বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে,  ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, তর্কিত সিদ্ধান্ত বা আদেশ জারীর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন 2[:

3[তবে শর্ত থাকে যে, প্রেসিডেন্ট, আপীলাত ট্রাইব্যুনাল যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যুক্তিসংগত কারণে উক্ত ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।]

উপধারা-4[(২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবীকৃত 5[করের, জরিমানা ব্যতীত,] ২০ (বিশ) শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে:

তবে উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এ আপীল দায়ের করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে তাহার উপর দাবীকৃত কর বা আরোপিত অর্থদণ্ডের কোনো অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না;]

উপধারা-(৩) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল আপীলের পক্ষগণের শুনানি গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন কর আদায়ের স্থগিতাদেশসহ যেইরূপ সঙ্গত এবং সমীচীন মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

উপধারা-(৪) কর আদায় স্থগিতকরণ সংক্রান্ত আপীলাত ট্রাইব্যুনালের যেকোন অন্তবর্তীকালীন আদেশ, উহা প্রদানের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত হইবার পরের দিবসে অকার্যকর হইবে, যদি না কার্যধারাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পন্ন করা হয়, বা উহার পূর্বে আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক অন্তর্বর্তী আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

উপধারা-(৫) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল ২ (দুই) বৎসর সময়সীমার মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে আপীলটি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

উপধারা-6[(৫ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, মহামারী, দৈব-দূর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে সরকার উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আপীল নিষ্পত্তির সময়সীমা আদেশ দ্বারা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।

উপধারা-(৫খ) উপ-ধারা (৫ক) এ উল্লিখিত সময়সীমা বৃদ্ধির আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে।]

উপধারা-(৬) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এবং উহার বেঞ্চসমূহের কর্মপদ্ধতি উক্ত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

উপধারা-(৭) আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম Penal Code (Act No. XLV of 1860) এর ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর অধীন বিচার বিভাগীয় কার্যধারা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।]


1 ধারা ১২২ অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ৯৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

2 “:” চিহ্ন “।” চিহ্নের পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ১৩ নং আইন) এর ৭৮ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ১ জুলাই ২০২২ তারিখ হইতে কার্যকর।

3 শর্তাংশ অর্থ আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ১৩ নং আইন) এর ৭৮ (ক) ধারাবলে সংযোজিত যাহা ১ জুলাই ২০২২ তারিখ হইতে কার্যকর।

4 উপ-ধারা (২) অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ৯ নং আইন) এর ৭৬(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

5 “করের, জরিমানা ব্যতীত,” শব্দগুলি ও কমাগুলি “করের” শব্দের পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ১৩ নং আইন) এর ৭৮(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ১ জুলাই ২০২২ তারিখ হইতে কার্যকর।

6 উপ-ধারা (৫ক) এবং (৫খ) অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ৯ নং আইন) এর ৭৬(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top