রেয়াত নেয়ার মূল শর্তগুলো কি কি?

রেয়াত নেয়ার যে শর্তগুলো রয়েছে, তার মধ্যে মূল শর্ত দুটি। এক হলো, আউটপুট ভ্যাট ১৫% হতে হবে। আর দুই হলো, যেটা ক্রয় করে ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে সেটা ভ্যাট আইনের আওতায় উপকরণ হতে হবে।

আউটপুট ভ্যাট কী তা আমরা এর আগে আলোচনা করেছি। পণ্য বা সেবা বিক্রি করার সময় যে ভ্যাট পরিশোধ করা হয়, সে ভ্যাট হলো আউটপুট ভ্যাট, বাংলায় বলা হয় উৎপাদ কর। আউটপুট ভ্যাট ১৫% এর কম হলে উপকরণ কর রেয়াত পাওয়া যাবে না। যেমন: কাগজ ‍উৎপাদনের ক্ষেত্রে আউটপুট ভ্যাট ৫%। তাই, কাগজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে উপকরণ কর রেয়াত পাওয়া যাবে না।

ডুপ্লেক্স বোর্ড উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ৭.৫%। তাই, এক্ষেত্রে উপকরণ কর রেয়াত পাওয়া যাবে না। বৈদ্যুতিক খুঁটি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ১০%। তাই, এক্ষেত্রে উপকরণ কর রেয়াত পাওয়া যাবে না। সিমেন্ট উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ১৫%, তাই, এক্ষেত্রে উপকরণ কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

তাছাড়া, ভ্যাট হার শূন্য (০) শতাংশ হলেও উপকরণ কর রেয়াত পাওয়া যায়। শূন্য ভ্যাট হার প্রযোজ্য রয়েছে রপ্তানি এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানির ওপর। তাই, রপ্তানি এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানির ক্ষেত্রেও উপকরণ কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

পণ্য বা সেবায় যেসব কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে, সে কাঁচামাল সবগুলোকে উপকরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। ভ্যাট আইনে উল্লেখ রয়েছে যে, কোন্ কোন্ আইটেম উপকরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং কোন্ কোন্ আইটেম উপকরণ হিসেবে গণ্য হবে না।

সহজভাবে বলা যায় যে, সকল কাঁমাচাল উপকরণ নয়। উপকরণ হিসেবে গণ্য হলে রেয়াত পাওয়া যাবে, অন্যথায় রেয়াত পাওয়া যাবে না।

ভ্যাট আইনের ধারা ২(১৮ক)তে “উপকরণ” সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, কোন্ কোন্ আইটেম উপকরণ হিসেবে গণ্য হবে, আর কোন্ কোন্ আইটেম উপকরণ হিসেবে গণ্য হবে না।

তবে, ভাষা এবং বাক্যের গঠন সহজবোধ্য নয়। একজন ভ্যাট প্র্যাকটিশনারের এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা খুব দরকার হয়। তিনি রেয়াত পাবেন কি পাবেন না সেটা তাকেই নির্ণয় করতে হয়। কোনটা উপকরণ আর কোনটা উপকরণ নয়, তা বোঝার সাধারণ পদ্ধতি রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top