মূসক-২.১ এ ঘোষিত এ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা হলে রেয়াত নিতে পারবে না এমন কোনো বিধান নেই। এমন কোনো বিধান সুস্পষ্পভাবে কোথাও উল্লেখ নেই, ক্রস রেফারেন্স মিলিয়েও এমন কোনো অর্থে আসা যায় না।
বিধি ২(ঢ)তে “ব্যাংক হিসাব” এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আইনের ধারা ৪৬(১)(ক)-তে উল্লেখ রয়েছে “ব্যাংকিং মাধ্যম বা মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম ব্যতিরেকে পরিশোধ করা হয়”।
এখানে “ব্যাংক হিসাব” এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হয় তা বলা হয়নি। যে কোনো ব্যাংক এ্যাকাউন্ট, যে কোনা মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা হলে রেয়াত নিতে পারবে।
এই বিধান করার মূল উদ্দেশ্য হলো নগদে লেন-দেন নিরুৎসাহিত করা। কারণ, নগদে লেন-দেন করলে কালো টাকার ব্যবহার বাড়ে, কালো অর্থনীতি ও ধূসর অর্থনীতির সৃষ্টি হয়।
তাই, নগদে মূল্য পরিশোধ নিরুৎসাহিত করে ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ উৎসাহিত করা হয়েছে। যেকোনো এ্যাকাউন্টে লেন-দেন হলেই এই উদ্দেশ্য অর্জিত হয়।
তাছাড়া, সকল ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এখনো মূসক-২.১ এ অন্তর্ভুক্ত হয়নি, একথা আমরা সবাই জানি। ব্যবসায়িক নানা প্রয়োজনে কোনো প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকতে পারে বা বর্তমানে আছে।
সকল ব্যাংক এ্যাকাউন্ট মূসক-২.১ এ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা এখনো দেয়া হয়নি। তাই, ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা হলেই রেয়াত প্রাপ্য হবে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।