ভ্যাট ব্যবস্থায় শূন্য হার (zero rate) বলে একটা বিষয় রয়েছে। শূন্য হার হলো, ভ্যাটের একটা হার। যেমন: ১৫% হলো একটা হার, ১০% হলো একটা হার, ৭.৫% হলো একটা হার, তেমনি ০% হলো ভ্যাটের একটা হার। আমাদের দেশে ভ্যাটের আরো কয়েকটা হার রয়েছে। যেমন: ৫%, ৪.৫%, ৪%, ৩%, ২.২৪% ইত্যাদি।
রপ্তানির ক্ষেত্রে ভ্যাটের শূন্য হার প্রযোজ্য হয়। তাহলে আমরা যে বলে থাকি যে, রপ্তানির ওপর ভ্যাট নেই, এ কথা সঠিক নয়। রপ্তানির ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। তবে, ভ্যাটের হার হলো শূন্য।
শূন্য হারতো আসলে কোনো হার নয়। শূন্য হার প্রয়োগ করলে কোনো ভ্যাট আদায় হয় না; তাহলে, ভ্যাট আইনে এই শূন্য হারের বিধান কি কারণে রাখা হয়েছে?
রপ্তানির ক্ষেত্রে শূন্য ভ্যাট হার (zero VAT rate) এর বিধান করার মূল কারণ হলো রপ্তানিকারকদের সুবিধা দেয়া এবং উৎসাহিত করা। রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্যে রপ্তানি পণ্যের উপকরণে অন্তর্ভুক্ত সকল শুল্ক-কর সরকার ফেরৎ দিয়ে দেয়। বিভিন্ন কর বিভিন্ন পদ্ধতিতে ফেরৎ দেয়া হয়। ভ্যাট রেয়াত দেয়া হয়।
ইনপুট ভ্যাট রেয়াত নিতে হলে আউটপুট ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। এটা ভ্যাট আইনের বিধান। আউটপুট ভ্যাট অব্যাহতি দিলে ইনপুট ভ্যাট রেয়াত নেয়া যায় না।
তাই, রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে আউটপুট ভ্যাট অব্যাহতি না দিয়ে শূন্য হারে আউটপুট ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভ্যাট আইনের বিধান অনুসারে, যারা ১৫% আউটপুট ভ্যাট পরিশোধ করে এবং যারা ০% আউটপুট ভ্যাট পরিশোধ করে, তারা রেয়াত নিতে পারে।
যারা ভ্যাটমুক্ত পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে তারা ভ্যাট আইনের বিধান অনুসারে রেয়াত নিতে পারে না। তাই, রপ্তানিকে ভ্যাটমুক্ত না করে শূন্য হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।