রেয়াত হলো একটা সুবিধা। ভ্যাটদাতা এই সুবিধা নিতে পারেন। যিনি ভ্যাটযোগ্য পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন এবং বিক্রির ওপর ভ্যাট পরিশোধ করেন, তিনি ভ্যাটযোগ্য পণ্য বা সেবা প্রস্তুত করার জন্য উপকরণ ক্রয় করেন।
উপকরণ যদি ভ্যাটযোগ্য হয়, তাহলে তিনি ভ্যাট পরিশোধ করে উপকরণ ক্রয় করেন। উপকরণের ওপর পরিশোধ করা ভ্যাট ফেরৎ নেয়াকে রেয়াত নেয়া বলে। উপকরণ কর রেয়াত নেয়ার অনেকগুলো শর্ত রয়েছে।
মূল শর্ত হলো, ক্রয়টি ভ্যাট আইনের বিধান অনুসারে উপকরণের সংজ্ঞার আওতাভুক্ত হতে হবে এবং বিক্রিত পণ্য বা সেবার ওপর প্রদেয় ভ্যাট ১৫% বা ০% হতে হবে। আমরা জানি যে, রপ্তানি এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানির ওপর ভ্যাটের হার শূন্য শতাংশ।
আমাদের দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় কোনো কোনো সময় দেখা যায় যে, ভ্যাটদাতা সঠিকভাবে রেয়াত নেন না। কখনো ভুলভাবে রেয়াত নেয়া হয়। আবারো, কখনো পাওনা রেয়াত ভুলক্রমে নেয়া হয় না।
আবার কখনো দেখা যায় যে, রেয়াত নেয়া সুবিধাজনক কি না তা বুঝতে পারেন না। রেয়াত বিষয়টা বুঝতে হলে ভ্যাট আইনের ধারা ২ এর উপ-ধারা (১৮ক) পড়তে হবে। ধারা ৪৬ পড়তে হবে।
আমরা বই “সহজ ভাষায় নতুন ভ্যাট আইন” এ আমি এ বিষয়গুলো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি। আমার বইয়ের তৃতীয় খণ্ডে প্রশ্নোত্তর অধ্যায়ে -৭ রেয়াত সংক্রান্ত ৫১টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে। এগুলো পাঠ করলে রেয়াত সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা হবে বলে আশা করি।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।