ভ্যাট এরিয়াতে দীর্ঘ ২৮ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, কেউ কেউ বলে থাকেন যে, ভ্যাট ফাঁকি না দিয়ে পারা যায় না। আমি ভ্যাট দেই কিন্তু অনেকে ভ্যাট দেয় না। ভ্যাট যোগ করলে কাস্টমার কেনে না।
ভ্যাট দিলেও বিবিধ ব্যয় করতেই হয় ইত্যাদি নানা কথা। কিন্তু ভ্যাট ফাঁকি দিলে হিসাবপত্র ম্যানিপুলেট করতে হয়। অনেকের সাথে অনৈতিক লিয়াজোঁ রাখতে হয়। গোপনীয়/বিবিধ খরচ বেড়ে যায়। হিসাবপত্র সঠিক থাকে না।
ভবিষ্যতে বিপদে পড়ার আশংকা থেকেই যায়। ভবিষ্যতে অডিট হলে যা ফাঁকি দেয়া হয়েছে জরিমানা, সুদসহ তার চেয়ে কয়েকগুণ দাবির সৃষ্টি হয়। এসব মামলা-মোকদ্দমা করতে যেয়ে সর্বশান্ত হওয়ার নজিরও রয়েছে।
অপরদিকে, সঠিকভাবে ভ্যাট পরিশোধ করলে এই সব কোনো সমস্যা থাকে না। লাইফ সহজ হয়ে যায়। আমাদের দেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কোনো কর ফাঁকি দেয় না, কোনো নিয়ম-কানুনের লংঘন করে না।
সব নিয়ম-কানুন মেনে তারা ভালো ব্যবসা করছে। এমন প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে সরাসরি আমাকে মেসেজ দিন। আমি জানিয়ে দেবো, ইন-শা-আল্লাহ।
এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মূলনীতি হলো, সব আইন সঠিকভাবে পালন করবো, সরকারের ন্যায্য পাওনা সরকারকে দিয়ে দেবো, কোনো গোপনীয়/বিবিধ খরচ করবো না। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের সমস্যা হচ্ছে না। কারণ, সবাই জানে যে, তারা ফাঁকি দেয় না। তাই, তাদের কেউ ডিসটার্ব করে না।
তাই, আমাদের বক্তব্য হলো, ভ্যাট ফাঁকি না দিয়ে ব্যবসা করা যায় না, এ ধরনের বক্তব্য সকল ক্ষেত্রে সঠিক নয়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এ ধরনের প্র্যাকটিস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার চেয়ে ভ্যাট প্রদান করা সুবিধাজনক।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।