আমরা ভ্যাটকে কঠিন বলে মনে করি। তা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে, যে কোনো কঠিন বিষয়ও সহজভাবে হ্যান্ডলিং করার উপায় রয়েছে। ৩টি প্রশ্নের উত্তর শিখলেই ভ্যাট ব্যবস্থায় মোটামুটি ভালোভাবে কাজ করা যায়।
প্রথম প্রশ্ন হলো, একটি সরবরাহ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিডিএস কাটতে হবে, কি হবে না। দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, একটি ক্রয় করা হয়েছে। ক্রয়ের বিপরীতে ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে। এই ভ্যাট রেয়াত পাওয়া যাবে, কি যাবে না।
এবং তৃতীয় প্রশ্ন হলো, কোনো একটা সরবরাহ রপ্তানি বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি হিসেবে গণ্য হবে, কি হবে না। গণ্য হলে সেক্ষেত্রে শূন্য হার প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে না।
ভিডিএস নিয়ে আমরা ইতোপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজ থেকে আমরা রেয়াত আলোচনা শুরু করলাম। রেয়াত আলোচনা বেশ বড় ধরনের আলোচনা, দীর্ঘদিন চলবে। মাঝে মাঝে আমরা প্রয়োজনে অন্য আলোচনাতেও যাবো, ইন-শা-আল্লাহ। আবার, রেয়াত আলোচনায় ফিরে আসবো।
আশা করি, এই আলোচনা অনুসরণ করলে পাঠকদের রেয়াত সম্পর্কে ভালো ধারণা হবে। যাঁরা রেয়াত নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন, ইন-শা-আল্লাহ।
রেয়াত বা উপকরণ কর রেয়াত অর্থ কী। আমরা জানি পণ্য এবং সেবা সরবরাহ অর্থাৎ বিক্রির সময় ভ্যাট আরোপিত হয়। ওই পণ্যের উপকরণ কেনার সময় যে ভ্যাট দিয়ে আসা হয়েছে, সেই ভ্যাট ফেরৎ নিয়ে নেয়া যায়। এভাবে উপকরণের ওপর পরিশোধ করা ভ্যাট ফেরৎ নেয়াকে রেয়াত নেয়া বলে।
ধরুন, একটা প্রতিষ্ঠান সাবান উৎপাদন করে। সাবানের উপকরণ গ্লিসারিন ক্রয় করা হয়েছে। ক্রয় করার সময় ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে। সেই ভ্যাট ক্রেতা ফেরৎ নিয়ে নিতে পারবেন। তবে, কিছু শর্ত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই হলো উপকরণ কর রেয়াত।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।