ভ্যাট হলো ভোক্তা কর। পণ্য বা সেবার ক্রেতা বা ভোক্তা ভ্যাট প্রদান করবেন। অর্থাৎ বিক্রেতাকে ভ্যাট প্রদান করতে হবে না। বিক্রেতার দায়িত্ব হলো, ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া।
যখন ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় সংঘটিত হয়, তখন ক্রেতার কাছে থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করার মতো কোনো ব্যবস্থা সরকারের নেই। তাই, সরকার বিক্রেতার ওপর দায়িত্ব দিয়েছে যে, ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট নিয়ে বিক্রেতাকে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
প্রযুক্তির উন্নতীর সাথে সাথে এমন ব্যবস্থা হয়তো থাকবে না। একদিন এমন সময় আসবে যখন ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাথে সাথে সরকার ক্রেতার কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাট অনলাইনে নিয়ে নিতে পারবে।
আমাদের দেশে একটা সমস্যা হলো, বিক্রেতাগণ অনেক ক্ষেত্রে বলেন যে, সব ক্রেতা ভ্যাট দেন না। আমি মূল্যের সাথে ভ্যাট যোগ করলে আমার মূল্য বেড়ে যায়।
তখন কাস্টমার আমার পণ্য/সেবা ক্রয় করবেন না ইত্যাদি। একথা সঠিক। তবে, এরপরও কথা থাকে। সবাই এই কথা বলে যদি ভ্যাট না দেন তাহলে কি অবস্থা দাঁড়াবে।
ক্রেতাদেরও একটা টেনডেনসি আছে। সেটা হলো, ক্রেতাগণ যেখান থেকে ক্রয় করেন, তাঁরা সাধারণত সেখান থেকে ক্রয় করায় পছন্দ করেন। সাধারণত ক্রেতাগণ স্থান পরিবর্তন করেন না। আপনি ক্রেতাকে ভালো সেবা দিলে ক্রেতা কয়েক টাকা ভ্যাটের জন্য অন্যত্র চলে যাবেন না।
আবার, একথাও সঠিক যে, অনেক ক্রেতা আছেন যাঁরা ভ্যাট দেয়া পছন্দ করেন। তারা নিশ্চিত হতে চান যে, বিক্রেতা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দেন কিনা। আপনি ক্রেতাকে ভ্যাট চালানপত্র দেন এবং ক্রেতার জন্য এমন কিছু করেন বা বলেন যেন তিনি নিশ্চিত হন যে, আপনি সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা দেবেন।
তাছাড়া, আপনি যদি উপকরণ কর রেয়াত নেন, আর ১৫% ভ্যাট দেন তাহলে ক্রেতার ওপর ভ্যাটের ভার বেশি পড়ে না, ১/২/৩ পারসেন্ট পড়ে মাত্র। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাঁরা সঠিকভাবে ভ্যাট পরিশোধ করে ভালো ব্যবসা করছে, আলহামদুলিল্লাহ। এটাও প্রমাণ করে যে, সঠিকভাবে ভ্যাট পরিশোধ করে ব্যবসা করা যায়।
ভ্যাট দেবো, এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করলে, চিন্তা করলে দেখবেন ভ্যাট দেয়া সহজ হয়ে যাবে, ইন-শা-আল্লাহ।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।