আজ আমরা ভ্যাট ব্যবস্থার একটা থিওরেটিক্যাল দিক নিয়ে আলোচনা করবো, ইন-শা-আল্লাহ্। আমরা জানি যে, ভ্যাট হলো ভোক্তা কর। পণ্য বা সেবার ক্রেতা ভ্যাট প্রদান করেন। ভ্যাট আরোপিত হয় মূল্য সংযোজনের ওপর। ভ্যাট আরোপিত হয় সরবরাহের সময়।
ভ্যাট আরোপিত হয় বিক্রির সময় ইত্যাদি। বিশেষ করে “সরবরাহ” শব্দটা বেশ কনফিউশন তৈরি করে। আমাদের ভ্যাট আইনে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যা কনফিউশন তৈরি করে; যেমন: পণ, ব্যক্তি, উৎপাদ কর ইত্যাদি। আমরা আলোচনা করছি কখন ভ্যাট প্রযোজ্য হবে এবং কখন ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে।
“সরবরাহ” বলতে মূলত বিক্রি বুঝায়। আমদানি করে পণ্য বিক্রি করা হয়। উৎপাদন করে পণ্য বিক্রি করা হয়। ট্রেডিং করে পণ্য বিক্রি করা হয়। সেবা প্রদান করে সেবা বিক্রি করা হয়। এই হলো মূলত ৪ ধরনের বিক্রি, অর্থাৎ ৪ ধরনের সরবরাহ।
ভ্যাট আইনের ধারা ৩৩ অনুসারে, ভ্যাট প্রদেয় হবে ৪টি ঘটনার মধ্যে যে কোনো একটা ঘটনা ঘটলে। সেগুলো হলো: (১) সরবরাহ প্রদান করা; (২) চালানপত্র ইস্যু করা; (৩) মূল্য আংশিক বা সমুদয় গ্রহণ করা এবং (৪) ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা বা অন্যের ব্যবহারের জন্য প্রদান করা।
তাহলে সংক্ষেপে বলা যায় যে, মূলত আমদানি করে বিক্রি করার সময়, উৎপাদন করে বিক্রি করার সময়, ট্রেডিং করে বিক্রি করার সময় এবং সেবা প্রদান করার সময় ভ্যাট পরিশোধ করতে হয়।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।