ভ্যাট আইনের প্রথম তফসিলের ২.৫ কেজির বিষয় বিশ্লেষণ

ভ্যাট আইনের প্রথম তফসিল হলো ভ্যাটমুক্ত পণ্য ও সেবার তালিকা। তফসিলের প্রথম খন্ড পণ্যের তালিকা, দ্বিতীয় খন্ড সেবার তালিকা। এই পণ্য ও সেবাগুলোর ওপর কোনো স্তরে ভ্যাট প্রযোজ্য নেই। পণ্যের এই তালিকায় মাঝে মাঝে পণ্যের বর্ণনার সাথে একটা কথা লেখা আছে।

সেটা হলো “২.৫ কেজি পর্যন্ত মোড়ক বা টিনজাত ব্যতীত”। কেউ কেউ এই কথার অর্থ বুঝতে পারেন না, কেউ কেউ ভুল বোঝেন, আবার কেউ কেউ উল্টা বোঝেন। এই বিষয়টা আজ আমি বোঝানোর চেষ্টা করবো, ইন-শা-আল্লাহ্।

এই কথার অর্থ হলো, এটুকুর ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ২.৫ কেজি পর্যন্ত যদি মোড়কজাত বা টিনজাত হয়, তাহলে তার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ যদি .৫ কেজি বা ১ কেজি বা ১.২৫ কেজি বা ১.৫ কেজি বা ১.৭৫ কেজি বা ২ কেজি বা ২.২৫ কেজি বা ২.৫ কেজির মোড়কে বা টিনে ওই পণ্য মোড়কজাত করে বা টিনজাত করে বিক্রি করা হয়, তাহলে তার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।

এর চেয়ে বেশি ওজনের অর্থাৎ ২.৭৫ কেজি বা ৩ কেজি বা ৩.২৫ কেজি বা ৩.৭৫ কেজি বা ৪ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের মোড়ক বা টিনজাত করে বিক্রি করলে তার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না। আর খোলা বা বাল্কে বিক্রি করলেতো ভ্যাট প্রযোজ্য হবেই না।

যেমন: প্রথম তফসিলে ০৭.০১ শিরোনামা সংখ্যার বিপরীতে তিনটি এইচএস কোড উল্লেখ করে বর্ণনায় বলা আছে “আলু, তাজা অথবা ঠান্ডা (২.৫ কেজি পর্যন্ত মোড়ক বা টিনজাত ব্যতীত)”। এই কথার অর্থ হলো, আলু তাজা অথবা ঠান্ডা খোলা বা বাল্কে বিক্রি হলে তার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না।

তাজা অর্থাৎ মাঠ থেকে উঠানো, আর ঠান্ডার অর্থ হলো, কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করা। কিন্তু এই আলু যদি মোড়কজাত বা টিনজাত করে বিক্রি করা হয় যার ওজন ২.৫ কেজি পর্যন্ত তাহলে তার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। ছোটো ছোটো মোড়কে, প্যাকেটে বা টিনে প্যাকিং করলে মূল্য সংযোজন বেশি হয়। তাই, এখানে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আশা করি বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top