ইট, রড়, বালি , সিমেন্ট , সবই নির্মান সংস্থার উপকরণ । বিল্ডিং নির্মান এর পর নির্মান সংস্থা সম্পূর্ন বিল্ডিং তৈরি খরচের উপর ৭.৫% ভ্যাট সহ বিল করবে । এই বিলটি আংশিক করে কয়েকটি বিল করতে পারে ।
প্রতিটির ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ভ্যাট চালান দিবে। যে প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং তৈরী করা হয়েছে উক্ত প্রতিষ্ঠান উৎসে কর্তন কারী হলে বিল থেকে ৭.৫% কর্তন করে ট্রাজারীতে জমা করবে এবং নির্মান সংস্থাকে ট্রাজারী চালানেরকপি এবং মূসক ৬.৬ চালান দিবে ।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের এসেট এডিশন পাশে যখুন উক্ত বিল্ডিং দেখানো হবে তখুন উক্ত মোট মূল্যর উপর ভ্যাট কর্তৃপক্ষ ৭.৫% ভ্যাট দাবী করবে । ট্রাকস কর্তৃপক্ষও তাদের পিডাবউল রেট অনুযায়ী ট্রাকস দাবী করবে ।
একটি বিল্ডিং এর মূল্য ধরুন ১০ কোটি টাকা তাহলে ৭.৫% হিসাবে ৭৫ লক্ষ টাকা ভ্যাট দাবী করবে । বিল্ডিং তৈরীতে অন্যান্য উপকরনের সাথে লেবার বিল দেওয়া হয়েছে যা মোট খরচের ২৫ % হলে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা লেবার বিলের উপর ভ্যাট দিতে হবে । উক্ত খরচ বিবেচনা করার সময় মোট খরচ বিবেচন করবে ।
আপনি বলতে পারেন বিল্ডিং আমার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জনবল দ্বারা , নিজে উপকরণ কিনে এনে বিল্ডিং তৈরি করেছি । হ্যাঁ আপনি করতে পারেন ।
তবে আপনার ব্যবসার ন্যাচার কী । মেমোরেন্ডাম , ট্রেডলাইসেন্স , ভ্যাট রেজিষ্টশেন ও অন্য সনদে কী অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কার্যক্রম হিসাবে নির্মান সংস্থা উল্লেখ আছে । দশ তলা বিল্ডিং করার মতো লজেস্টিক সাপট, ইঞ্জিনিয়ার, লেবার আপনার রয়েছে ।
আপনি কী তা প্রমান করতে পারবেন ? কারন ভ্যাট ৭৫ লক্ষ? তাই নিজে তৈরী করলে সকল ভ্যাট চালান , লেবার এর বেতন আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধ হয়েছে তার প্রমান , অন্যান্য আনুসঙ্গীক প্রমান সংরক্ষন করতে হবে । নির্মান সংস্থা দিয়ে তৈরী করেছেন ,উপকরণ আপনি কিনে দিয়েছেন হতে পারে সে ক্ষেত্রেও সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষন করিতে হইবে।
সুতরাং নির্মান সংস্থার ভ্যাটের হার ৭.৫% যা প্রতিটি উপকরণ ক্রয় করার সময় পরিশোধ করা আপনার জন্য মঙ্গলজনক।
Md. Manik Hossen is a VAT Executive in Bangladesh. He has about 7+ years experience in the VAT management of Bangladesh. He likes to share knowledge about VAT and TAX related informantion. He collects and publishes the latest updates about VAT and Tax here.
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।