একজন পাঠক একটা বিষয় জানতে চেয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান একটা Life insurance company থেকে insurance service নিয়ে থাকে। তাঁদের employee তার actual medical expense গুলো insurance co. থেকে ক্লেইম করে। Insurance co. উক্ত এমাউন্ট employee কে প্রদান করে।
এরপর insurance co. সেই পেইড টাকার উপরে ১০% সার্ভিস চার্জ যোগ করে তাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে বিল করে। প্রশ্ন হলো, ১০% সার্ভিস চার্জের ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে কিনা।
উত্তর হলো, সার্ভিস চার্জের ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না। ভ্যাট আইনের প্রথম তফসিলের দ্বিতীয় খন্ডের অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে জীবন বীমা পলিসি ভ্যাটমুক্ত। অর্থাৎ জীবন বীমা পলিসি হলো একটা সেবা। জীবন বীমা পলিসি সেবার বিপরীতে যে পণ (সর্বমোট মূল্য) নেয়া হয়, সে পণ ভ্যাটমুক্ত।
আমরা জানি যে, পণের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদত্ত বা প্রদেয় সমুদয় অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকে। সার্ভিস চার্জ পণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত (ধারা-২(৫৯)। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। আটা, ময়দা, সুজি ভ্যাটমুক্ত। কিন্তু আটা, ময়দা, সুজি যে প্যাকেটে করে বিক্রি করা হয়, সে প্যাকেট আলাদা বিক্রি করা হলে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।
কারণ, তখন প্যাকেট হলো আলাদা সরবরাহ। কিন্তু যখন প্যাকেটে আটা, ময়দা, সুজি ভর্তি করে বিক্রি করা হয়, তখন আটা, ময়দা, সুজি হলো সরবরাহ। প্যাকেট মূল সরবরাহের উপকরণ। মূল সরবরাহ ভ্যাটমুক্ত। তাই, প্যাকেটও ভ্যাটমুক্ত।
আমরা জানি যে, ভ্যাট আইনের ধারা ৩৫(খ) অনুসারে, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ হতে একক সরবরাহের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সরবরাহকে কৃত্রিমভাবে বিভাজন করা যাবে না। এক্ষেত্রে প্যাকেট আলাদা করা যাবে না।
জীবন বীমা সেবার ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ একই বিষয়। সার্ভিস মূল বীমা সেবা সরবরাহের অংশ। সার্ভিস চার্জ বা প্রফিট যা-ই বলা হোক না কেনো তা পণের অংশ। জীবন বীমা সেবা ভ্যাটমুক্ত। তাই, জীবন বীমা সেবার বিপরীতে যে পণ (মোট মূল্য) নেয়া হয়েছে তা ভ্যাটমুক্ত। সার্ভিস চার্জকে আলাদা দেখার অবকাশ নেই। সার্ভিস চার্জ ভ্যাটমুক্ত হবে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।