কোন্ কোন্ ইনপুটস উপকরণ নয়?

ভ্যাট আইনের ধারা ২ এর উপ-ধারা (১৮ক)তে উল্লেখ রয়েছে যে, কোন্ কোন্ ইনপুটস উপকরণ এবং কোন্ কোন্ ইনপুটস উপকরণ নয়। তবে, সেটা সহজবোধ্য করার জন্য আমি ভিন্নভাবে পেশ করবো, ইন-শা-আল্লাহ্। আমরা প্রথমে দেখবো, কোন্ কোন্ ইনপুটস উপকরণ নয়।

আপনি মানসপটে একটা ফাক্টরী কল্পনা করুন। ধরুন, এই ফ্যাক্টরীটি ১০ বিঘা জমির উপর স্থাপিত। ভূমি অর্থাৎ এই জমি উপকরণ নয়। ধরুন, এই ১০ বিঘা জমিতে স্থাপিত রয়েছে মূল ফ্যাক্টরী অর্থাৎ উৎপাদনস্থল, একটা অফিস ভবন, একটা প্রশাসনিক ভবন, একটা রেস্ট হাউজ, ২টা ডরমিটরী, একটা মসজিদ, একটা গোডাউন আরো বেশ কিছু স্থাপনা।

এগুলোকে এক কথায় বলা যায় ইমারত বা ভবন। অর্থাৎ ভূমির ওপর যে ভবনগুলো দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো উপকরণ নয়। স্থাপনা যদি ভাড়া নেয়া হয়, তাহলে সেটাও উপকরণ নয়। ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে অফিস ইকুইপমেন্ট, আসবাবপত্র, ফিক্সার, রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এয়ারকন্ডিশনার, ফ্যান এগুলো উপকরণ নয়।

ধরুন, এই ফ্যাক্টরির মালিকানায় রয়েছে কিছু যানবহান (কার, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি), এগুলো উপকরণ নয়। যানবাহন ভাড়া নেয়া হলে সেগুলোও উপকরণ নয়। আর এই ফ্যাক্টরিতে যত মানুষ কাজ করেন, অর্থাৎ নিয়মিতভাবে নিযুক্ত পিওন থেকে চেয়ারম্যান পর্যন্ত যাদেরকে এক কথায় শ্রম বলা হয়, এই শ্রম উপকরণ নয়।

আমাদের দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় এই ইনপুটসগুলো উপকরণ নয়, তাই, এগুলোর বিপরীতে ভ্যাট পরিশোধ করা থাকলে রেয়াত পাওয়া যাবে না।

আরো কতিপয় ইনপূটস রয়েছে যা উপকরণ নয়। সেগুলো হলো, অফিস সাপ্লাই, স্টেশনারী দ্রব্যাদি, আলোক সরঞ্জাম, জেনারেটর, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, স্থাপত্য পরিকল্পনা ও নকশা উপকরণ নয়। তাছাড়া, ভ্রমণ, আপ্যায়ন, কর্মচারীর কল্যাণ, উন্নয়নমূলক কাজ এবং এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট পণ্য ও সেবা উপকরণ নয়।

আমরা আগামী টিপসে আলোচনা করবে যে কোন্ কোন্ ইনপুটস উপকরণ। যে যে ইনপুটস উপকরণ হিসেবে গণ্য সেগুলোর বিপরীতে রেয়াত পাওয়া যাবে; আর যে যে ইনপুটস উপকরণ হিসেবে গণ্য নয়, সেগুলোর বিপরীতে রেয়াত পাওয়া যাবে না।

অধিকন্তু রেয়াত পাওয়া যাবে কি যাবে না তা ‍নির্ণয় করতে হলে আইনের ধারা ৪৬ এ একটা নেগেটিভ লিস্ট রয়েছে সেগুলো চেক করতে হয়। সেগুলোর বিপরীতে রেয়াত পাওয়া যায় না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top