জনমনে একটা সাধারণ ধারণা রয়েছে যে, সাব-কন্ট্রাক্ট এর ওপর ভ্যাট নেই। ভ্যাটের নানা বিষয়ে এমন ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। সাব-কন্ট্রাক্ট এর ওপর ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয় আজকের টিপসে স্পষ্টিকরণ করবো, ইন-শা-আল্লাহ। আমরা সাব-কন্ট্রাক্ট বলতে যা বুঝি সে সংক্রান্ত আমাদের দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় তিনটি পরিস্থিতি রয়েছে যা নিম্নরূপ:
ভ্যাট আইনের ধারা ৪৯(৫) সাব-কন্ট্রাক্ট সংক্রান্ত বিধান বর্ণিত রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে, কোনো প্রকল্পের আওতায় মূল কন্ট্রাক্টরের বিল থেকে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রযোজ্য হলে উৎসে ভ্যাট কর্তন করবে। মূল কন্ট্রাক্টর যদি সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করে থাকেন, তাহলে মূল কন্ট্রাক্টর যখন সাব-কন্ট্রাক্টরকে বিল পেমেন্ট করবেন, তখন উৎসে ভ্যাট কর্তন করতে হবে না।
চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন বলে একটা কার্যক্রম ভ্যাট আইনে প্রচলিত রয়েছে যা কর্পোরেট জগতে contractual manufacturing বা toll manufacturing বলা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাধারণ আদেশ নং-১৪/মূসক/২০২০, তারিখ: ২৪ নভেম্বর, ২০২০ অনুসারে, পণ্যের মূল মালিক এবং চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনকারী একে অপরের মধ্যে উপকরণ এবং পণ্য মূসক-৬.৪ ফরমের মাধ্যমে আদান-প্রদান করবেন। চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনকারী তাঁর প্রাপ্য অর্থের জন্য মূসক-৬.৩ ইস্যু করবেন। যথানিয়মে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাধারণ আদেশ নং-০৮/মূসক/২০২২, তারিখ: ০১ জুন, ২০২২ অনুসারে, দুটি বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা হলে তা ভ্যাটমুক্ত হবে। অনেক সময় একটা বন্ডেড প্রতিষ্ঠান অন্য একটা বন্ডেড প্রতিষ্ঠান থেকে ডাইয়িং, ফিনিশিং, ক্যালেন্ডারিং, স্টিচিং ইত্যাদি কাজ করিয়ে নেয় যা ভ্যাটমুক্ত।
এই হলো আমাদের দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় সাব-কন্ট্রাক্ট সংক্রান্ত তিনটি পরিস্থিতি এবং সে পরিস্থিতিতে ভ্যাট সংক্রান্ত বিধান। আশা করি বিষয়টা পাঠকদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।