আসবাবপত্র যেখানে প্রস্তুত করা হয়, সে স্থানকে বলে কারখানা বা ফ্যাক্টরী বা উৎপাদনস্থান। আবসাবপত্র যে স্থানে বিক্রি করা হয়, সে স্থানকে বলে শো-রুম। কারোর নিজের ফ্যাক্টরি এবং শো-রুম রয়েছে। কারোর শো-রুম আছে, অন্যের ফ্যাক্টরি থেকে কিনে এনে বিক্রি করেন।
আসবাবপত্র ফ্যাক্টরি থেকে বিক্রি হয়। আবার, শো-রুম থেকেও বিক্রি হয়। সাধারণ ক্রেতারা আসবাবপত্র কেনেন। আবার, উৎসে কর্তনকারী সত্তাও আসবাবপত্র কেনে। প্রথম কথা হলো, আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টরীতে ভ্যাটের হার ৭.৫% এবং শো-রুমেও ৭.৫%।
ফ্যাক্টরী থেকে ৭.৫% হারে ভ্যাট চালানপত্র ইস্যু করে আসবাবপত্র শো-রুমে নিয়ে যেতে হবে। শো-রুম থেকে ৭.৫% হারে ভ্যাট চালানপত্র ইস্যু করে আসবাবপত্র বিক্রি করতে হবে।
শো-রুম থেকে উৎসে কর্তনকারীর কাছে বিক্রি করা হলে শো-রুমের ভ্যাট চালানপত্রসহ ফ্যাক্টরী থেকে আনার চালানপত্রের কপি দিতে হবে। তাহলে উৎসে কর্তনকারী ৭.৫% কর্তন করবে। ফ্যাক্টরী থেকে আনার ভ্যাট চালানপত্র দিতে না পারলে ১৫% ভ্যাট কর্তন করতে হবে।
ফ্যাক্টরী থেকে যদি সরাসরি ভোক্তার কাছে বিক্রি করা হয়, অর্থাৎ শো-রুমে না নেয়া হয়, তাহলে ১৫% হারে ভ্যাট চালানাপত্র ইস্যু করতে হবে। ফ্যাক্টরী থেকে যদি উৎসে কর্তনকারীর কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে ১৫% হারে ইস্যুকৃত ভ্যাট চালানপত্র রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যয়ন করে দিলে উৎসে ভ্যাট কর্তন করতে হবে না। প্রত্যয়ন না থাকলে ১৫% ভ্যাট উৎসে কর্তন করতে হবে। আশা করি, বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে।
DR. MD. ABDUR ROUF is a VAT Specialist and Trainer. He has about 27 years experience in the VAT management of Bangladesh. He is a regular trainer of International VAT Training Institute and Bangladesh VAT Professionals Forum (VAT Forum).
এখানে উল্লেখিত কোনো কিছু যদি সরকারের ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ইস্যূকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ-ই প্রাধান্য পাবে।